বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ন

নিজের বাসায় প্রবীরকে আর রত্নার বাসায় স্বপনককে হত্যা করে ঘাতক পিন্টু নারায়ণগঞ্জে দুই বন্ধুকেই ৭ টুকরা করে পিন্টু

আবদুল্লাহ আল মামুন, নারায়ণগঞ্জ  প্রতিনিধি :
একটি খুনের রহস্য উন্মোচন হতে না হতেই, এর সূত্র ধরেই ২ বছর আগের আরও একটি খুনের সন্ধানে অগ্রসর হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। প্রায় ২বছর আগে ২৭ অক্টোবর ২০১৬ বিকেলে নিতাইগঞ্জের কাচারি গলির নিজ বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি স্বপন। সে মৃত সোনাতন চন্দ্র সাহার ছেলে। তবে স্বপন নিখোঁজ নয়, গুমের শিকার হয়েছে তথ্য পায় প্রবীর হত্যাকান্ডের তদন্তকারী সংস্থা ডিবি পুলিশের দল। তার পাষন্ড বন্ধু পিন্টু দেবনাথই স্বপনকে হত্যার পর লাশ গুম করে ৭ টুকরো করার পর ফেলে দেয় শীতলক্ষ্যা নদীতে । দু বছর আগেই সে এ কাজটি নিখুতভাবে সম্পন্নও করেছে মানব রূপি দানব পিন্টু দেবনাথ ।
অপরদিকে শহরের আলোচিত কাপড় ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহা হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে রতœা রাণী চক্রবর্তী ও আবদুল্লাহ আল মোল্লা মামুন। এর মধ্যে রতœা আদালতকে জানিয়েছে পিন্টু দেবনাথের সঙ্গে বিরোধের জের ধরেই রতœার বাড়িতে স্বপনকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যার পর লাশ ৭ টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয় শীতলক্ষ্যা নদীতে।
গত ১৯ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে পৃথকভাবে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে গ্রেফতারকৃত রতœা রাণী চক্রবর্তী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মহসীনের আদালতে গ্রেফতারকৃত আবদুল্লাহ আল মোল্লা মামুনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়।

জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, প্রবীর হত্যায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরমধ্যে পিন্টুর জবানবন্দীতে প্ররোচনাকারী হিসেবে মামুনের নাম ওঠে আসে। এছাড়া রতœার কাছ থেকে নিখোঁজ স্বপন দাসের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। জবানবন্দীতে তাদের কাছ থেকে স্বপন হত্যাকান্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com